স্টেশন মাষ্টারের বদলী নিয়ে ডিটিওর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

ব্যক্তিস্বার্থে অদক্ষ স্টেশন মাষ্টার বদলী করা দূর্বল ডিটিও দিয়ে পরিবহন সচল সম্ভব নয়ঃ মোখলেছুর রহমান

Passenger Voice    |    ১২:২৯ পিএম, ২০২০-১২-০৬


ব্যক্তিস্বার্থে অদক্ষ স্টেশন মাষ্টার বদলী করা দূর্বল ডিটিও দিয়ে পরিবহন সচল সম্ভব নয়ঃ মোখলেছুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘সেবা ও নিরাপত্তা সপ্তাহ’ পালন করছে রেলওয়ে। তবে সংস্থাটির কতিপয় কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারনে সেবা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেস্তে যাচ্ছে।  গতকাল (০৫ ডিসেম্বর) নগরীর পাহাড়তলী স্টেশনের কাছাকাছি চাঁদপুরগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের ৮টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় দায়িত্বরত সহকারী স্টেশন মাস্টার (এএসএম) রাকিবুল ইসলাম ও একজন পয়েন্টসম্যানের গাফিলতির কারনে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় পূর্বাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক সরদার শাহাদাত আলীর নির্দেশনায় ডিটিও স্নেহাশিষ দাশ গুপ্ত, ডিএসটিই, ডিএন ও ডিএমই চট্টগ্রাম সহ একটি চার সদস্যার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে।

এদিকে সাম্প্রতিক পূর্বাঞ্চল রেলের পরিবহন বিভাগে ডিটিও স্নেহাশিষ দাশ গুপ্তর আদেশে ২১ জন স্টেশন মাস্টারকে বিভিন্ন স্টেশনে বদলী ও পদায়ন করা হয়। এই বদলী ও পদায়ন নিয়ে ডিটিওর বিরুদ্ধে অদক্ষ স্টেশন মাস্টারদের গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশনের দায়িত্ব দেওয়া, উৎকোচ গ্রহন, স্বজনপ্রিতিসহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। একই আদেশে ২০১৯ সালে রেলের চাকরীতে যোগদান করা সহকারী স্টেশন মাস্টার (এএসএম) রাকিবুল ইসলামও অদৃশ্য উপহারের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশনের দায়িত্ব পেয়ে যান। অথচ চট্টগ্রামের সদরসুলপুর,গঙ্গাসাগর,ইমামবাড়ি  ষ্টেশনে দুই জন করে গ্রেড-৩ মাস্টার থাকলেও পাহাড়তলির মতো গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশনে অনবিজ্ঞ এএসএম কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই দুর্ঘটনার পর এই এএসএমকে পাহাড়তলি গ্রেড-৩ ষ্টেশনের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে যে বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ ছিল সে গুঞ্জন আরও জোড়ালো হয়েছে রেলওয়ে পরিবহন বিভাগে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ে সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মোখলেছুর রহমান নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে প্যাসেঞ্জার ভয়েসকে জানান, পাহাড়তলি স্টেশন একটি গুরুত্তুপুরন ও ঝুঁকিপূর্ণ স্টেশন। এটি একটি গ্রেড ৩ স্টেশন। এখানে সিনিয়র মাস্টার পদায়ন না করে কোন স্বার্থে ২০১৯ সালে যোগদান করা একজন অনবিজ্ঞ এএসএম কে দায়িত্ব দেওয়া হলো? এবং কোন আইনে বা যুক্তিতে তাকে এখানে পদায়ন করা হলো  বিষয়টা আগে তদন্ত করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, এই দুর্ঘটনার জন্য ডিটিও স্নেহাশিষ দাশ গুপ্তও দায়ী। একজন দায়ী ব্যক্তি কিভাবে তদন্ত কমিটিতে থাকে সেটা কর্তৃপক্ষের কাছে আমার প্রশ্ন। তিনি এই তদন্ত প্রভাবিত করার সম্ভবনা শতভাগ। তাছাড়া বর্তমান ডিটিওর মতো দুর্বল ব্যক্তিদের দিয়ে পরিবহন বিভাগের কার্যক্রম সচল রাখা সম্ভব না।

ডিটিওকে কমিটিতে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্বাঞ্চল রেলের চীফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (সিওপিএস) এ এম সালাহ উদ্দিন প্যাসেঞ্জার ভয়েসকে বলেন, এখানে পদের কারনে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তাকে আহব্বায়ক করা হয়েছে। আমি আশা করি আমরা একটি সুষ্ঠু তদন্ত করতে পারবো। তাছাড়া উক্ত সহকারী স্টেশন মাস্টারকে পাহাড়তলিতে বদলি করায় কোন অনিয়ম বা ঘুষ লেনদেন হয়েছে কি না সে বিষয়টিও দেখা হবে।

আরো পড়ুন>>> রেলের মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতিতে জড়িত চট্টগ্রামের সিওপিএস